-মুহাম্মাদ আবদুল আওয়াল।।
প্রকৃতির এক লিলাভূমি,অনন্য একক-
যার তুলনা মিলে না এমন কোথাও আর
মাধুর্য্য নান্দনিক বুনন,ভৌগলিক মিলন
কোথায় মিলে বাংলা জোড়ে এমন মনোরম!
সভ্যতা, শিক্ষা,সংস্কৃতির আদি জনপদ-
সমতল বিস্তৃর্ণ ভূমি সুখ-শান্তির বসত।
ব্যোম ছোঁয়া নগ এক পাশে তার- মাঝখানে সীমান্ত,
প্রতিবেশী স্বাধীন দুদেশ বাংলাদেশ -ভারত।
একই মায়ের দেহের অংশ ছিলো ত্রিপুরা
ছিন্ন করে ভিন্ন করা হলো এক বাঙলা
দুয়ের মাঝে বিরাজে আজ কাটা তারের বেড়া।
সীমান্ত ঘেষে কমলা দিঘি পুব তীরে মন্দির
পূুজোর দিনে বাজে ঢাক-ঢোল আর উলুধ্বনি
নাইতে আসে পূণ্যথী সচ্ছ কালো জলে,
সন্তরণে মনের সুখে গায় নর-নারী-
কীর্তন,ভজন,শ্যামা সংগীত রাম হরি হরি
ভেসে আসে চেনা সে সুর আবেশে বিভোর
সপাৎ সপাৎ আওয়াজ তুলে রেলগাড়ি যায় চলে
দু’পাড়ের বাঙালী রহে অবাক চোখে চেয়ে
বেদনার নীলাভ আঁখি সিক্ত সম্মোহন!
থামে গাড়ি ইস্টিশনে যাত্রী উঠে নামে
সকাল,দুপুর,প্রদোষে আর কখনো বা রাতে।
কোলাহল কলোরুলে ওঠে সেথা মেতে
থেমে যায় সব ক্ষণিক পর হয় শান্ত নীরব
চলে গাড়ি দিবারাত্রি ছুটে নিরন্তর।
রেল লাইনের পশ্চিমে শহর কসবা অনিন্দিত,
মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি ইতিহাস খ্যাত,
শান্তি সুখের শান্ত নগর ঐতিহ্যের ধারক,
মুক্তি সেনার পূত রক্তে মৃত্তিকা যার সিক্ত।
বীরত্ব,জ্ঞান,সংস্কৃতিতে উদীপ্ত,অম্লান,
সম্প্রীতির এক মিলন ক্ষেত্র সহ অবস্থান,
যেথায় বাজে শঙ্খ ধ্বনি আর গর্জে আযান
তিলত্তোমা আদি শহর কসবা জনপদ
শিক্ষার দীপ্ত মশালচীরা এগিয়ে চলে পথ।
শহরের পর সবুজ শ্যামল মাঠ গ্রাম প্রান্তর
ফল ফসলে বারটি মাস থাকে টইটুম্বর।
ঐতিহ্যময় কল্যাণ সাগর কসবার বুকের পর
রেলস্টেশন তার ঐতিহ্যের বাস্তব এক স্বাক্ষর।